বার্তা সংস্থা ইকনা: গত শনিবার আহওয়াজে সামরিক কুচকাওয়াজে সন্ত্রাসী হামলায় ২৫ জন শহীদ ও ৬০ জন আহত হয়েছে। শহীদদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী ওই হামলা প্রসঙ্গে বলেছেন, সিরিয়া ও ইরাকে সমস্যায় পড়লে আমেরিকা যাদের মুক্তির ব্যবস্থা করে দেয় সেই কাপুরুষরাই এই সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। এসব হামলাকারীদের অর্থ যোগান দিয়ে থাকে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
তিনি বলেন, এই হামলার মধ্যদিয়ে আবারও প্রমাণিত হয়েছে উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে ইরানের শত্রুর সংখ্যা অনেক।
ইহুদিবাদী ইসরাইলের ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে ইরানিদের না খেলার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ইসলামি বিপ্লবের প্রথম থেকেই ইহুদিবাদী ইসরাইল ও দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক বর্ণবাদী সরকারের বিরোধিতা করেছে। ওই দুই সরকারকে ইসলামি ইরান স্বীকৃতি দেয় নি। অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী সরকারের পতন হয়েছে। মিথ্যাবাদী, দখলদার ও বর্ণবাদী ইহুদিবাদী ইসরাইলেরও পতন হবে।
তিনি বলেন, ইসলামি ইরান, দখলদার ইসরাইলের ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে ভবিষ্যতেও খেলবে না এবং গত বছর ইরানি ক্রীড়াবিদ আলী রেজা কারিমি ইসরাইলি প্রতিনিধির সঙ্গে খেলায় অংশ নেন নি। তিনি আসলে একজন প্রকৃত চ্যাম্পিয়ন।
এশিয়ান গেমসে ইরানি ক্রীড়াবিদদের সাফল্যের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ইরানিরা যে অঙ্গনেই সাফল্য অর্জন করুক না কেন, তাতে ক্ষুব্ধ হয় সাম্রাজ্যবাদীরা। কাজেই ইরানি ক্রীড়াবিদদের বিজয় মানেই হলো ইরানের শত্রুদের পরাজয়। গোটা ইরানি জাতির বিজয়।
এই বৈঠকে ক্রীড়া ও যুবমন্ত্রী, জাতীয় অলিম্পিক কমিটির সচিব এবং কিছু ফেডারেশনের সভাপতি এবং এশিয়ান গেমসের পদক প্রপ্ত প্লেয়ারগণ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে তারা সর্বোচ্চ নেতার ইমামতিতে যোহর ও আসরের নামাজ আদায় করেন।