IQNA

কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে সর্বোচ্চ নেতা:

ঔদ্ধত্যের ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও ভবিষ্যৎ ইসলামের

19:57 - January 27, 2023
সংবাদ: 3473236
তেহরান (ইকনা): ইসলামী বিপ্লবের নেতা ইউরোপীয় দেশগুলিতে সম্প্রতি কুরআনের অবমাননার নিন্দা জানিয়েছেন এবং ভবিষ্যৎ ইসলামের জন্য রয়েছে বলে মনে করেছেন।
তথাকথিত ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা’কে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে ইউরোপীয় দেশগুলোতে পবিত্র কুরআনের যে অবমাননা করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইসলামি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী।
 
তার এক টুইট বার্তায় বলা হয়, “বাকস্বাধীনতার স্লোগানকে অপব্যবহার করে পবিত্র কুরআনের সঙ্গে যে বিকৃতমস্তিষ্ক আচরণ করা হচ্ছে তাতে প্রমাণিত হয়, দাম্ভিক শক্তিগুলো ইসলাম এবং কুরআনকেই তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে।”
 
ওই বার্তায় আরও বলা হয়, “দাম্ভিক শক্তিগুলোর ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও পবিত্র কুরআনের ঔজ্জ্বল্য প্রতিদিন বাড়ছে এবং ইসলামের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে।” বার্তার শেষাংশে আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী আরো বলেন,  “ইসলামের পবিত্র বিষয়গুলোর অবমাননা ও ঘৃণা ছড়ানোর দুষ্ট চক্রান্তের মোকাবিলায় বিশ্বের সকল স্বাধীনতচেতা মানুষের উচিত মুসলমানদের পাশে দাঁড়ানো।”
 
বাক-স্বাধীনতা বা মত প্রকাশের কথিত স্বাধীনতার নামে ইউরোপের কোনো কোনো দেশে সরকারি সমর্থনের ছত্রচ্ছায়ায় পবিত্র কুরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটলেও অন্য কোনো ধর্মের ধর্মগ্রন্থ পোড়ানো বা অবমাননার ঘটনা ঘটছে না। এ থেকে বোঝা যায় কেবল ইসলাম ধর্ম ও পবিত্র কুরআনই তাদের শত্রুতার শিকার! আসলে পাশ্চাত্যে ইসলাম সবচেয়ে দ্রুত বিকাশমান ধর্ম হওয়ায়  এ নিয়ে বর্ণবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠীগুলো আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে! 
 
ইউরোপীয় সরকারগুলো বাক-স্বাধীনতার সমর্থক বলে দাবি করলেও এইসব দেশে ইহুদিবাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখা যায় না এবং কথিত হলোকাস্টের সত্যতার বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ বা এ বিষয়ে গবেষণাও নিষিদ্ধ, এমনকি এসব কাজের জন্য জেল-জরিমানার ব্যবস্থাও রয়েছে! তাহলে এক্ষেত্রে মত প্রকাশের স্বাধীনতা রইলো কোথায়? 
 
এ ছাড়াও ইউরোপের এসব দেশ ধর্মনিরপেক্ষ বলে দাবি করলেও আসলে তারা ইসলাম ও পবিত্র কুরআনের বিষয়ে নিরপেক্ষ নয়, বরং কুরআন ও ইসলামের ব্যাপারে শত্রুতা করতেই অভ্যস্ত। সম্প্রতি ইউরোপে পবিত্র কুরআনের যে অবমাননা হয়েছে তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ন্যাটো জোটের প্রধানও!   
 
পশ্চিমারা এক সময় মুসলমানদের অনেক লাইব্রেরি, গবেষণা-কেন্দ্র এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে ইসলাম-বিদ্বেষী ক্রুসেডিয় উন্মাদনা নিয়ে। তারা ইবনে সিনার চিকিৎসা বিষয়ক বই আলকানুনও পুড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু এইসব অসভ্য আচরণের মাধ্যমে তারা কি জ্ঞান-বিজ্ঞানের অগ্রগতি ঠেকিয়ে রাখতে পেরেছে না ইসলামের অগ্রগতি ও অগ্রযাত্রা ঠেকিয়ে রাখতে পেরেছে? 
 
এই ইউরোপেরই প্রখ্যাত বিজ্ঞানী মরিস বুকাইলি পবিত্র কুরআনের দোষক্রুটি খুঁজতে গিয়ে কয়েক হাজার বছর আগে ডুবে-যাওয়া ফেরাউন সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের বক্তব্যের সতত্যায় মুগ্ধ হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। তাই এটা স্পষ্ট যে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার ভাষায়: “দাম্ভিক শক্তিগুলোর ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও পবিত্র কুরআনের ঔজ্জ্বল্য প্রতিদিন বাড়ছে এবং ইসলামের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে।
 
পবিত্র কুরআনে সুরা সফের অষ্টম আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন, তারা মুখের ফুঁৎকারে আল্লাহর আলো নিভিয়ে দিতে চায়। আল্লাহ তাঁর আলোকে পূর্ণরূপে বিকশিত করবেন যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে। 4117338
 
captcha