জুমার নামাজের সময় নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে চালানো হামলায় নিহত হয়েছিলেন ৫১ জন মুসল্লি। আহত হয়েছিলেন অনেকে। হামলার প্রায় ১৮ মাস পর মঙ্গলবার ৭৯২ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিয়েছে দেশটির রয়েল কমিশন। এতে বলা হয়, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ইসলামি সন্ত্রাসবাদ রুখতেই বেশি নজর দিয়েছিল। আর সেই সুযোগেই মাথাচড়া দিয়ে ওঠে বৈষম্যমূলক সন্ত্রাসের মতো অপরাধগুলো।
এরই অংশ হিসেবে ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদে হামলা চালায় শ্বেতাঙ্গ উগ্রবাদী ব্রেন্টন ট্যারেন্ট। রয়েল কমিশনের প্রতিবেদনের পর নিজের প্রতিক্রিয়ায়, গোয়েন্দাবাহিনীসহ সরকারি সংস্থাগুলোর ব্যর্থতার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা অরডার্ন। তিনি বলেন, প্রতিবেদনে সরাসরি কোন প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করা হয়নি। কিন্তু সেখানে যে কথাগুলো বলা হয়েছে, সেজন্য ব্যর্থতার দায় আমাদের ওপরই পড়ে। তবে আমি বলতে চাই, নিউজিল্যান্ড বিশ্বের যেকোন স্থানের থেকে নিরাপদ।
প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় দেশটির মুসলিম কমিউনিটির নেতারা নিরাপদ নিউজিল্যান্ডের দাবি জানিয়েছেন। মুসলিম কমিউনিটি নেতা আবদিঘানি আলী বলেন, আমরা এখানে নিরাপদে বাঁচতে চাই। অনেকদিন ধরেই বিদ্বেষমূলক আক্রমণের শিকার আমরা। কিন্তু ক্রাইস্টচার্চ হামলা ছিল পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত।
তবে হামলার পর সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে তাদের সঙ্গে আমাদের দুরত্ব অনেক কমেছে। আশা করি, প্রতিবেদনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। চলতি বছরের আগস্টে ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলাকারী ২৯ বছর বয়সী ট্যারেন্টকে প্যারোলে মুক্তির সুযোগ না রেখে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়। iqna