শাবিস্তানের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: আয়াতুল্লাহ ঈসমাইল গান্দুমকার বলেন, পশ্চিমা নতুন সমাজবিদ্যার নিরিখে বিশ্বকে "সুন্নত বা সনাতন" "আধুনিক" এবং "আধুনিকোত্তর" তিনটি ভাগে বিভক্ত করেছে। আর এধরণের সমাজবিজ্ঞানের ধারনায়, সামাজিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার আলোচনা, সামাজিক যোগাযোগ এবং ঐতিহাসিক দিকটিই প্রাধান্য পায়।
তিনি বলেন: প্লেটো, রুশো, মুন্তেকিভের মত মানুষেরাও এধরণের সমাজবিজ্ঞানের ধারনার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়েছেন।
মুসলিম সমাজবিজ্ঞানী ইবনে খালদুনও এ বিসয়ের উপর আলোকপাত করেছেন এবং ইসলামী দৃষ্টিকোন থেকে সমাজকে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
আয়াতুল্লাহ ঈসমাইল গান্দুমকার বলেন, মোটকথা আজ সমাজবিজ্ঞানীরা মার্কিন অর্থনীতি থেকে শুরু করে সমাজ ব্যবস্থাসহ সকল কিছুকেই বিশ্বের জন্য আদর্শ ও মডেল হিসাবে দেখাতে চাচ্ছে। এমনকি সভ্যতার বিকাশ ও উন্নয়নের জন্যও আমেরিকাকেই আদর্শহিসাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন: আমেরিকান সংস্কৃতি, আমেরিকান অর্থনীতি, আমেরিকান সমাজ ও এমনকি চারুকলা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রেও, এটাকে বিশ্বের জন্য দৃষ্টান্ত হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছে। আর এটাকে একটি টেম্পলেট হিসাবে আমেরিকান মডেলকে প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের জন্য ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।
কিন্তু এর পাশাপাশি আমরা মুসলমান হিসাবে মানবতার মুক্তির জন্য একটি নতুন দৃষ্টান্ত তুলে ধরতে চাই আর তা হচ্ছে মাহদাভী ইসলামী বিশ্ব। কেননা এ ধরণের সমাজ ব্যবস্থা ঐশী নীতিমালার উপর প্রতিষ্ঠিত। যার মোকাবেলায় রয়েছে আমেরিকান শয়তানী সমাজ ব্যবস্তা।
ইমাম মাহদীর(আ.) মাধ্যমে পরিচালিত ঐশ্বরিক প্রকৌশল দ্বারা ঐশ্বরিক রাষ্ট্রই হচ্ছে সেই মানবতার মুক্তির একমাত্র পথ। আর এটা বিশ্বের জন্য একটি নতুন আলোচনা।
ইমাম মাহদী যখন আবির্ভূত হবেন তখন তিনি একটি আন্তর্জাতিক আইন, একটি নতুন বিশ্ব নীতি এবং একটি নতুন বিশ্ব অর্থনীতিতে সংজ্ঞায়িত করবেন। অবশ্যই, সামাজিক নিয়মাবলী এবং প্রাকৃতিক বিশ্বের ঘটনা স্বাভাবিক থাকবে। কিন্তু বিশ্বের যে আইনি কাঠামো হবে, তা হবে ঐশ্বরিক এবং সেখানে মানুষের বাস্ত প্রয়োজনের দিকে মনোযোগ দেয়া হবে।