বার্তা সংস্থা ইকনা: এ উপলক্ষে কারবালায় ইমাম হুসাইন (আ.)এর পবিত্র মাযার প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন মাযার কর্তৃপক্ষ। মাযারের প্রশাসনিক কাউন্সিল "ফাজেল আওয়ায" জানিয়েছেন: আজাদারিকারীদের সকল প্রকার সেবা প্রদানকরার জন্য কারবালার পুলিশ কমান্ড ও ফুরাত কেন্দ্রীয় অপারেশন কমান্ড সদর দপ্তরের সহযোগিতায় মাযার কর্তৃপক্ষ প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলন: ইরাকের সকল প্রবেশ পথে নিরাপত্তা প্রদান করার জন্য নিরাপত্তা কর্মীরা শোচ্যর রয়েছে।
উল্লেখ্য, পবিত্র মহররম মাসের শুরু থেকে এ পর্যন্ত কারবালায় উল্লেখযোগ্য হারে জায়েরগণ প্রবেশ করছেন। আশাকরা যাচ্ছে আশুরা তথা মহররম মাসের ১০ তারিখে "রোকজা তাভিরিজ" অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য কয়েক মিলিয়ন যায়ের কারবালায় প্রবেশ করবেন।
"রোকজা তাভিরিজ" এমন এক শোকানুষ্ঠান, যে অনুষ্ঠানটি ইমাম হুসাইন (আ.)এর শাহাদাতের দিনে মাকতালে হুসাইন পাঠ করার পর সকলে একত্রে ইমাম হুসাইন (আ.)এর পবিত্র মাযারের দিকে রওনা হন।
মাযারের প্রবেশ পথে কারবালার ধুলার গালিচা
আজাদারি পালনের জন্য এ বছর ইমাম হুসাইন (আ.)এর মাযারের প্রবেশ পথগুলোয় কারবালার ধুলা বিছিয়ে দেয়া হচ্ছে। যাতে করে শোকপালনকারীরা সহজে মাযারের ভিতরে প্রবেশ করতে পারেন।
প্রতি বছর তাভিরিজ অনুষ্ঠান পালনের জন্য এধরণের ব্যবস্থা করা হয়। ইমাম হুসাইন (আ.)এর পবিত্র মাযারের প্রবেশ পথসমূহ -বাবুল ইসলাম, বাবুল কারামা, বাবুল ক্বিবলা (প্রধান গেইট), বাবুল ক্বাজীউল হাজাত, বাবুশ শোহাদায়- কারবালার মাটি দ্বারা ভরাট করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আজাদারীরা নওহা ও মাতম করতে করতে ইমাম হুসাইন (আ.)এর মাজারে প্রবেশ করেন এবং আজাদারী করতে করতে তাঁর ভাই হযরত আব্বাস (আ.)এর মাযার ও খিমাগাহের {যেখানে ইমাম হুসাইন (আ.)এর খিমা ছিল} দিকে যান।