বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: তিনি ওসিয়তনামায় লিখে গেছেন, তাকে যেন তাঁর জন্মস্থান কেরমানের কবরস্থানে নিজের এক সহযোদ্ধার পাশে দাফন করা হয়।
জেনারেল সোলাইমানির মরদেহ বহনকারী গাড়ি ভিড়ের কারণে সহজে সামনের দিকে এগোতে পারছে না। আজ শোকার্ত জনতা খুব কাছ থেকে তাদের বীরের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন। জেনারেল সোলাইমানিকে বহনকারী গাড়ীতে একবার হাত বুলিয়ে দিতে পারাকে পরম সৌভাগ্য বলে মনে করছেন অনেকে। এ কারণে গাড়ির সামনে পেছনে শুধুই মানুষ।
কেউ কেউ গাড়িতে কফিনের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিদের কাছে এক ধরণের কালো কাপড় ছুঁড়ে দিচ্ছেন। এরপর তা কফিনে ছোঁয়ানোর পর আবারও ফিরিয়ে দিচ্ছেন তারা। জনতা সেই কাপড় ছিঁড়ে ভাগ করে নিচ্ছেন। বীরের কফিনের ছোঁয়া পাওয়া কাপড়ের টুকরো সযত্মে আজীবন রক্ষা করবেন তার স্মৃতি হিসেবে। এ এক আধ্যাত্মিক দৃশ্য!
এর আগে গতকাল তেহরান ও কোমে কোটি জনতা জেনারেল সোলাইমানির প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
আজ ভোরে কেরমানের বিমানবন্দরে তার লাশ পৌঁছায়। এ সময় কেরমান বিমানবন্দরে ইরানের শীর্ষস্থানীয় শত শত সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। iqna