আর তার সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ভারতের চিরশত্রু পাকিস্তান জানিয়েছে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়তে ‘প্রস্তুত’ তারা। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানান, পাকিস্তানও বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক পর্যায়ে একসঙ্গে লড়াই চালানোর প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করছে।
শনিবার সকালে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র বিষয়ক ওই মুখপাত্র এক টুইট বার্তায় জানান, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কভিড-19 এর মোকাবিলায় বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য) কর্মকর্তাকে মোদির প্রস্তাবিত ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিতে বলেছেন।
ওই মুখপাত্র বলেন, কভিড-19 এর মোকাবিলায় বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে একসঙ্গে লড়াই চালানো দরকার। আমরা জানাচ্ছি যে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত এসএপিএম (প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী) সার্কের সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেয়ার জন্য উপস্থিত থাকবেন।
পাকিস্তানের ওই মুখপাত্র এর আগে বলেন যে, পাকিস্তান তার প্রতিবেশীদের সহায়তার জন্যে প্রস্তুত রয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ইতোমধ্যেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় জাতীয় সুরক্ষা সম্পর্কিত একটি জরুরি বৈঠকও করেছেন।
বিশ্বজুড়ে করোনায় এক লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত ও পাঁচ হাজারের বেশি মৃত্যুর ঘটনায় করোনার সংক্রমণ রুখতে একটি শক্তিশালী কৌশল নির্ণয়ের আহ্বান জানান মোদি। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, আমি সার্কভুক্ত দেশগুলোর নেতৃত্বের কাছে প্রস্তাব রাখছি করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়তে শক্তিশালী কৌশল নির্ণয় করা হোক। আমাদের দেশের নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ নিয়ে আলোচনা করতে পারি।
তিনি আরও লেখেন, একজোট হয়ে আমরা বিশ্বের কাছে একটি উদাহরণ তৈরি করতে পারি। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসম্মত বিশ্ব গড়ে তুলতেও বড় ভূমিকা রাখতে পারি।
মোদির ওই আহ্বানের পর সার্কভুক্ত দেশগুলো থেকে আশাব্যঞ্জক সাড়া লক্ষ্য করা যায়। শুক্রবারই বাংলাদেশ জানায়, একটি শক্ত কৌশল গ্রহণে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ছাড়াও সার্ক-এর সদস্য দেশগুলো হলো-ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা।
সূত্র; rtvonline