ইউনিসেফ এক বিবৃতিতে বলেছে, "ইয়েমেন বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকটের সাক্ষী।
এদিকে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) অনুমান করেছে যে, এই যুদ্ধের পর থেকে সাত বছরে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ইয়েমেনি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "এই যুদ্ধ ও ধ্বংসযজ্ঞের জন্য সবচেয়ে বড় মূল্য দিয়েছে ইয়েমেনের জনগণ।"
ইউনিসেফ এই বিবৃতিতে বলেছে: "বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে ইয়েমেনের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৪৭ শিশু নিহত বা আহত হয়েছে।
সৌদি জোট বাহিনী অন্যয় ও জোড় করে চাপিয়ে দেওয়া ইয়েমেনের যুদ্ধ স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, শিক্ষা এবং অন্যান্য কল্যাণমূলক খাতকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই যুদ্ধের ফলে এপর্যন্ত ৩৩ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ স্কুল এবং শিবিরে বাস করছে। এসকল শরণার্থী শিবিরে যেখানে শোধিত পানি না পাওয়ায় কলেরার মতো রোগ ছড়িয়ে পড়ছে।
ইউনিসেফের মতে, যুদ্ধের ফলে দেশটির ২৫০০ টিরও বেশি স্কুল ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। এসকল স্কুল সৌদি জোট বাহিনীর হামলার ফলে ধ্বংস হয়েছে অথবা শরণার্থীদের আশ্রয় হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
জাতিসংঘ অনুমান করেছিল যে, যুদ্ধের ফলে ইয়েমেনের প্রায় ২০ লাখ শিশু স্কুল থেকে বাদ পড়েছিল।
ইউনিসেফ এই বিবৃতিতে আরও বলেছে, ইয়েমেনে সংঘাত বৃদ্ধির পর থেকে, জাতিসংঘ ১০ হাজার দুইশতটিরও বেশি শিশুর মৃত্যু ও আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং জোর দিয়েছে যে প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে। গত অক্টোবরে সংস্থাটি জানিয়েছে, যুদ্ধে প্রায় ১০ হাজার শিশু নিহত হয়েছে।
ইয়েমেনের ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে ইউনিসেফ জোর দিয়েছে: একটি স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের প্রয়োজন রয়েছে, যার মাধ্যমে ইয়েমেনের নাগরিক এবং তাদের সন্তানরা শান্তিতে বসবাস করতে পারে। কারণ এটা তাদের অধিকার।
সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত পশ্চিমা শক্তি বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের সাথে সাত বছর আগে ইয়েমেনের সাবেক রাষ্ট্রপতি মনসুর হাদির সরকারকে সমর্থন করার অজুহাতে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে একটি বড় আকারের সামরিক আক্রমণ শুরু করে।
সৌদি জোট বাহিনী কর্তৃক বর্বর হামলার পরেও পশ্চিমাদের ব্যাপক নীরবতা পরিলক্ষিত হয়েছে এবং এই হামলার ফলে ইয়েমেনের অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে এবং কয়েক লাখ ইয়েমেনি মানুষ নিহত হয়েছে। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী হওয়ার পরও এতো দিনের যুদ্ধ ইয়েমেনের সাহসী নাগরিকগণ দৃঢ় ভাবে প্রতিরোধ করেছ এবং শত্রুদের উদ্দেশ্যকে বিনষ্ট করেছে। iqna